গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার ১৫ টি উপায় সম্পর্কে জানুন
গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার ১৫ টি উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন কিন্তু সঠিক তথ্য
পাচ্ছেন না। আর সঠিক তথ্য পেতে এবং এর সম্পর্কে আরো বিস্তারিত ভালোভাবে জানতে।
আরো টিনের ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় সবকিছু নিয়ে আজকে আমাদের আলোচনা।
এছাড়াও এর সম্পর্কে আরো ভালোভাবে বিস্তারিত সবকিছু জানতে নিজের আর্টিকেলগুলো
মনোযোগ সহকারে পড়েন এবং দেখেন। আশা করি তাহলে এর সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা
পেয়ে থাকবেন আপনি।
পোস্ট সূচীপত্র:
- গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার ১৫ টি উপায় সম্পর্কে জানুন
- টিনের ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় জেনে নিন
- বাংলাদেশ এত গরম কেন বিস্তারিত জানুন
- রান্নাঘর ঠান্ডা রাখার উপায় জেনে নিন
- বাইরে গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় জেনে নিন
- ঘর ঠান্ডা রাখার যন্ত্র কি কি জেনে নিন
- অতিরিক্ত পরিমাণে গরমে আপনার কি কি সমস্যা হতে পারে জেনে নিন
- তীব্র গরমে কি করা উচিত জেনে নিন
- গরমে আপনার শরীরে জন্য কি কি খাবার খাওয়া উচিত জেনে নিন
- শেষ বক্তব্য
গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার ১৫ টি উপায় সম্পর্কে জানুন
সাধারণত ভাবে যে কোন দেশে জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষের দিকে অতিরিক্ত পরিমাণে গরম
পড়ে থাকে। আর এই সময় তাপমাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে হয়ে থাকে যা মানুষের জন্য
খুবই কষ্টকর বলে মনে হয়। আর অতিরিক্ত পরিমাণে গরম পড়ার কারণে অনেকে
বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই আজকে আপনাদের মাঝে থেকে রক্ষা পাওয়ার কিছু
উপায় নেই আলোচনা করব।
এই অতিরিক্ত গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আপনি চাইলে প্রতিদিন ডাব, গ্লুকোজ,
স্যালাইন, তরমুজ, কুসর রস, এলোভেরা রস, এইগুলো সাধারণভাবে
আপনি খেতে পারেন। এতে আপনার শরীরের অতিরিক্ত পরিমাণে গরম থেকে রক্ষা আপনি
পেয়ে থাকবেন। এছাড়াও আপনি বিভিন্ন উপায়ে গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়
আছে।
সারা বছরের থেকে এ বছরে প্রচুর পরিমাণে গরম হওয়ার কারণে সাধারণত ভাবে মানুষ
নার্ভাস বা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। এই সময় আপনি চাইলে বেশি বেশি পানি
জাতীয় খাদ্য খেতে পারেন। এতে আপনি যেমন সুস্থ সবল থাকবেন তার পাশাপাশি কোন রোগে
আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা থাকবে না।
আপনি যদি প্রতিদিন ডাবের পানি খেতে থাকেন এতে আপনার শরীরের যেমন গরম থেকে রক্ষা
করবে। তার পাশাপাশি আপনার শরীরে রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে খুব ভালো কাজ করে বলে মনে
হয়। গরম থেকে রক্ষার পাওয়ার ১৫ টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার
চেষ্টা করেছি ইতিমধ্যে। আপনি এগুলো মেনে খেতে পারেন।
এছাড়াও আপনি সাধারণভাবে লক্ষ্য করলে দেখবেন যে, অতিরিক্ত তাপমাত্রা হওয়ার কারণে
সাধারণত ভাবে মানুষ ডায়রিয়া, কলেরিয়া আক্রান্ত হয়ে পড়ে। এই
সময় আপনি চাইলে হালকা ধরনের জামাকাপড় পড়তে পারেন। এতে আপনার শরীরের বিভিন্ন
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দিয়ে প্রাকৃতিকেরা বাতাস লাগবে যা আপনাকে খুব ঠান্ডা রাখতে
সাহায্য করবে।
টিনের ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় জেনে নিন
আপনাদের মাঝে চলুন এবার টিনের ঘরের সম্পর্কে কিছু বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার চেষ্টা
করি। টিনের ঘর ঠান্ডা রাখতে চাইলে আপনাকে প্রথমত যে কাজটি করতে হবে চলুন তার
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি। আপনি টিনের ঘরের উপরে পানি দিতে পারেন এই
সময় টিনে অতিরিক্ত পরিমাণে যে তাপমাত্রা থাকে তা পানির সাথে হারিয়ে
যেতে পারে।
এছাড়াও টিনে সাধারণত ভাবে বিভিন্ন রকমের ভাগ রয়েছে। যেমন কালার টিন,
ঢেউটিন, প্রোফাইল টিন, এবং তালি টিনের ঘর, এরকম ধরনের প্রায় টিনের ঘরেরও ভাগ
রয়েছে যা বলতে গেলে প্রায় অনেক রকমের। আর এই সময় আপনি চাইলে বেশি বেশি টিনের
ঘরকে ঠান্ডা রাখতে চাইলে বিভিন্ন রকমের স্টাইলে সাজাতে পারেন।
এখন আপনি শুনলে অবাক হবেন যে , টিনের ঘরেও এসি লাগানো যায় যা খুবই একটু অবাক
বিষয় বলে মনে হয় এখন। এছাড়াও আপনি টিনের ঘরে সাধারণত হবে টালি করতে পারছেন
এখন। তার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে টিনের ঘরে বর্তমানে মানুষ বসবাস করছে। তাই
আপনি চাইলে টিনের ঘরকে ঠান্ডা রাখতে পারেন খুব সহজেই।
এছাড়াও টিনের ঘরের আশেপাশে যদি কোন গাছ থাকে তাহলে দেখবেন অতিরিক্ত পরিমাণে
ঠান্ডা হয়ে থাকে। কারণ এই সময় প্রচুর পরিমাণে গাছ থেকে আপনি অক্সিজেন পেয়ে
থাকেন তাই আপনার ঘরকে ঠান্ডা রাখতে পারে প্রচুর পরিমাণে। আপনি চাইলে বেশি বেশি
টিনের ঘরে পানি দিতে পারেন এতে খুব সহজেই ঠান্ডা হয়ে যাবে।
এমনিতেই টিনের ঘরে প্রচুর পরিমানে রোদ লাগে। আর এই সময় যদি অতিরিক্ত পরিমাণই গরম
হয়ে যায় তা থেকে আপনাকে ঠান্ডা রাখার কিছু উপায় জেনে নিতে হবে। তো আপনাদের
মাঝে ইতিমধ্যেই ঠান্ডা রাখার কিছু উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার চেষ্টা
করেছি। প্রতিদিন উপরের নিয়ম গুলো মেনে আপনি চলতে পারেন।
বাংলাদেশ এত গরম কেন বিস্তারিত জানুন
বাংলাদেশের অতিরিক্ত পরিমাণে গরম হওয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে এদেশে প্রাকৃতিক
আবহাওয়া প্রচুর পরিমাণে শুকনো যা বলার মত নয়। বাংলাদেশের প্রায় প্রতি বছর
এরকম ধরনের গরম পড়ার কারণে অনেক মানুষ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে সাধারণত
ভাবে মরে যাই। তার একমাত্র কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের খুব একটা বেশি ঠান্ডা করার
যন্ত্র নেই বললে চলে।
আর আপনি সাধারণত ভাবে লক্ষ্য করে দেখবেন যে, এই বছর বৈশাখ মাস আসার আগ থেকেই
প্রচুর পরিমাণেই আবহাওয়া শুকনো এবং রোধের তীব্রতার কারণে সাধারণত ভাবে গরম টা
বেশি হয়েছে এ বছর। আর এই অতিরিক্ত পরিমাণ গরম হওয়ার কারণে মানুষ নানা বিপাকে
পড়তে হচ্ছে যা বলার মত নয়।
এছাড়া প্রতিবছর দেখবেন এপ্রিল মাসে গরম থাকে। কিন্তু এই বছর সবকিছুর রেকর্ড
ভেঙ্গে গরমের তীব্রতা নতুন করে রূপ ধারণ করেছে যা বলার মত নয়। এছাড়া
বাড়ির আশেপাশে যাদের গাছপালা কম রয়েছে তাদের জন্য মারাত্মক এবং বিপদজনক গরমে
তীব্রতা। কিন্তু বাংলাদেশের প্রচুর পরিমাণে গাছ রয়েছে।
তাই সাধারণ খুব একটা বেশি গরমের ভাব বুঝতে পারেনা যাদের বাড়ির আশেপাশে এরকম
ধরনের বাগান রয়েছে। কারণ গাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে ঠান্ডা বাতাস দিতে সাহায্য করে
তার পাশাপাশি অক্সিজেন নাইট্রোজেন যার শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে তাপমাত্রা
নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে খুব ভালোভাবে কাজ করে।
আর সাধারণত ভাবে ভৌগলিক অবস্থান এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতিবছরই
বাংলাদেশ বাদ দিয়েও বিভিন্ন দেশে গরমের তীব্রতা বেড়ে যায়। এবং সাগরের
থেকে যে পরিমাণ বাতাস আসার কথা তা আসতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। তাই
সাধারণত ভাবে এই ধরনের গরম পড়ে থাকে যা মানুষের জন্য খুব কষ্টকর বলে মনে হয়।
রান্নাঘর ঠান্ডা রাখার উপায় জেনে নিন
আপনি যদি আপনার রান্না ঘর ঠান্ডা রাখতে চান তাহলে আপনাকে যা করতে হবে চলুন এবার
এর সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু তথ্য আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা
করি। রান্নাঘর ঠান্ডা রাখতে চাইলে আপনাকে বেশি বেশি গাছপালা লাগানোর চেষ্টা
করতে হবে। এতে আপনার ঘর যেমন ঠান্ডা রাখবে তার পাশাপাশি আপনিও ভালো থাকবেন।
- আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন ঘরের ভিতরে লাগানো কিছু গাছ পাওয়া যায় ওগুলো আপনি লাগাতে পারেন।
- এছাড়া প্রতিদিন নিয়মিত ঘর মুছিন তার পাশাপাশি একটু হালকা হালকা ভিজিয়ে রেখে আপনাকে ঘর মুছতে হবে।
- এছাড়াও আপনার ঘরের দেয়ালে যে রং দেওয়া থাকে তার ওপর নির্ভর করেও ঘর ঠান্ডা রাখতে পারে।
- এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ভারী পদ্মা পাওয়া যায় ওগুলো আপনি ব্যবহার করতে পারেন।
- আর রান্না ঘরে আপনি বিভিন্ন ধরনের এগেস্ট ফ্যান পাওয়া যায় এগুলো আপনি সাধারণত ব্যবহার করতে পারেন।
- আরো আপনি রান্না ঘরের উপরে কিছু সময় পানি ঢেলে রাখতে পারেন এতে ঠান্ডা রাখতে পারি ঘর।
- বাড়ির আশেপাশে প্রচুর পরিমাণে গাছপালা লাগাতে হবে তাহলে ঘর ঠান্ডা রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে মনে হয়।
তাই আপনি আপনার রান্নাঘর ঠান্ডা রাখতে চাইলে উপরের নিয়মগুলো মেনে প্রতিদিন যদি
এভাবেই গাছপালা লাগাতে থাকেন। তাহলে আপনার বাড়ির আশেপাশে যেমন ঠান্ডা থাকবে তার
পাশাপাশি আপনার রান্না ঘর খুব ঠান্ডা থাকবে বলে মনে হয়। এছাড়াও গাছ থেকে আমরা
প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন পেয়ে যার শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারিতা।
এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার চাদর বা কোলবালিশ তৈরি করার সময় যদি আপনি সাধারণত ভাবে
তুলা দিয়ে তৈরি করেন তাহলে আপনি ঠান্ডা পেয়ে থাকবেন বালিশ থেকে। কারণ
তুলাতে প্রচুর পরিমাণে ঠান্ডা রাখতে পারে আপনাকে। সবকিছু পরিশেষে বলা যায় আপনি
আপনার রান্নাঘর ঠান্ডা রাখতে এইভাবে প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন।
আপনি ইতিমধ্যে জেনে এসেছেন যে, গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার ১৫ টি উপায় সম্পর্কে। এর
পাশাপাশি আপনাকে আরো বিভিন্ন ধরনের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয়ার চেষ্টা
করেছি ইতিমধ্যে। আপনি আপনার রান্নাঘরকে ভালোভাবে ঠান্ডা রাখতে একমাত্র উপায়
হচ্ছে আপনাকে বেশি বেশি বাড়ির আশেপাশে গাছপালা লাগাতে হবে। এটাই আপনার জন্য
একমাত্র উপায় বলে মনে হয়।
বাইরে গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় জেনে নিন
আপনি সাধারণত ভাবে বাইরে যাওয়ার সময় একটি কাজ করতে পারেন। এতে আপনার শরীরের
অতিরিক্ত পরিমাণে কোন গরম লাগবে না বলে মনে হয়। আপনি প্রথমত বাইরে যাওয়ার সময়
যে কোন স্থানে বা রাস্তার আশেপাশেই ডাব খেয়ে নিতে পারেন। এতে আপনার শরীর
ঠান্ডা রাখবে তার পাশাপাশি বাহিরে অতিরিক্ত পরিমাণে গরম লাগবে না।
এছাড়াও আপনি বাইরে যাওয়ার সময় হালকা পরিমাণে ফ্রিজের পানি বা তার সাথে কিছু
সংখ্যক স্যালাইন বা ইসবগুলের ভুষি, এরকম ধরনের কিছু থাকলেই তা মিশিয়ে আপনি নিয়ে
যেতে পারেন। একটু পর পর যদি আপনি খেয়ে থাকেন তাহলে আপনি খুব সহজেই শরীর সুস্থ
এবং ঠান্ডা রাখতে পারবি কোন অতিরিক্ত পরিমাণে গরম লাগবে না বলে মনে হয়।
এছাড়াও আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করতে থাকেন এতে আপনার শরীরে অতিরিক্ত
পরিমাণে গরম লাগবে না বলে মনে হয়। গরম থেকে বাইরে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র
উপায় হচ্ছে আপনাকে পানি জাতীয় জিনিস বেশি খেতে হবে। এছাড়াও আপনি বাইরে যাওয়ার
সময় ছাতা নিয়ে যেতে পারেন এতে আপনি রোদে তাপমাত্রা থেকে নিয়ন্ত্রণে থাকবেন।
এছাড়াও পানিতে প্রচুর পরিমাণে শরীরে হাইড্রেট পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। আর এই
সময় আপনার শরীরের পানির ঘাটতি থাকলে তা পূরণ করতে খুব তাড়াতাড়ি সাহায্য
করে বলে মনে হয়। তাই আপনাকে বাহিরে গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার সঠিক উপায়
হচ্ছে আপনাকে বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এতে আপনাকে গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার
জন্য উপযুক্ত পরিমাণে কাজ করবে।
এছাড়াও আপনি চাইলে গরম থেকে বাঁচার জন্য বেশি বেশি পানি পান করতে পারেন। তার
পাশাপাশি চোখমুখে পানি দিতে হবে বেশি পরিমাণে। এতে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য
করবে তার পাশাপাশি আপনার সুস্থ সবল থাকতে পারবেন বলে মনে হয়। আর বাইরে থেকে
রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে বেশি বেশি পানি পান করা।
ঘর ঠান্ডা রাখার যন্ত্র কি কি জেনে নিন
আপনি সাধারণত ভাবে ঘরকে ঠান্ডা রাখতে চাইলে বেশি বেশি পানি দিতে হবে উপরে। তার
পাশাপাশি বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি রয়েছে যা ঘরকে ঠান্ডা রাখতে পারে
খুব সহজেই এবং অনেক তাড়াতাড়ি বৈদ্যুতিক মাধ্যমে। তার মধ্যে প্রথমত হচ্ছে
ঘর ঠান্ডা রাখার যন্ত্র এসি, এরকম ধরনের কিছু যন্ত্র রয়েছে যা ঘরকে ঠান্ডা
রাখতে পারে খুব সহজে।
আপনার ঘরে আশেপাশে এবং ঘরে যেগুলো পর্দা দেওয়া থাকে এসব পদ্মা। সকালে হালকা
রোদের মিষ্টি ভাব থাকতে টেনে নিতে হবে। তারপরে আপনার ঘরকে সুন্দরভাবে
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার পরে রেখে দিলে দেখবেন ঘর অনেক ঠান্ডা হয়ে থাকবে।
এছাড়াও আপনি বিভিন্ন উপায়ে আরো ঘরকে ঠান্ডা রাখতে পারেন।
এছাড়া আপনি সাধারণত গ্রামাঞ্চলে দেখবেন যে অনেক মাটির বাইরে রয়েছে। এগুলো
বাড়ি সাধারণত ভাবে ঠান্ডা হয়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে। কারণ হচ্ছে মাটির বাড়িতে
মাটিতে যে গ্যাস বা অক্সিজেন থাকে তাতে ঘরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে খুব
তাড়াতাড়ি। এতে আপনি বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক যন্ত্র ছাড়াই ঘরকে ঠান্ডা রাখতে পারেন।
এছাড়াও আপনি কারেন্ট চলে গেলে সাধারনতভাবে আইপি অ্যাড্রেস নামে একটি যন্ত্র
রয়েছে। যা আপনার এসিকে কারেন্ট চলে যাওয়ার পরেও চালাতে সাহায্য করবে বলে মনে
হয়। তার পাশাপাশি আপনার ঘরকে ঠান্ডা রাখার জন্য বাড়ির আশেপাশে অতিরিক্ত পরিমাণে
গাছ লাগাতে হবে। এতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং বাতাসের কারণে আপনার ঘর ঠান্ডা রাখতে
সাহায্য করবে।
এছাড়াও আরো রয়েছে এয়ারকুলার নামে একটি যন্ত্র। এ যন্ত্র দিয়ে আপনি আপনার ঘরকে
খুব সহজে ঠান্ডা রাখতে পারেন। তাই আপনি আপনার ঘরকে ঠান্ডা রাখার জন্য
বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির পাশাপাশি আপনি ঘরোয়া ভাবে কিছু উপায় জেনে সহজেই
আপনি আপনার ঘরকে ঠান্ডা রাখতে পারেন বলে মনে হয়।
অতিরিক্ত পরিমাণে গরমে আপনার কি কি সমস্যা হতে পারে জেনে নিন
অতিরিক্ত পরিমাণে গরম পড়লে আপনার শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ সাধারণত ভাবে
হারিয়ে যাই। এই সময় আপনি আপনার শরীরে শারীরিকভাবে দুর্বলতা হয়ে পরে। তারপরে
ডায়রিয়া, কলেরিয়া, এরকম ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে খুব সহজেই। এই
সময় আপনি খুব সহজেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে যা বলার মত নয়।
এছাড়া আপনার শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে গরম পড়লে
শরীরের সাধারণত হবে বিভিন্ন ধরনের সমস্যাই পরতে হয়। এছাড়া অতিরিক্ত পরিমাণ গরমে
শারীরিক ও মানসিক অনেক সমস্যা হয় যা বলার মত নয়। তার পাশাপাশি ঘুমের অনেক
সমস্যা হয় তাই আপনি সাধারণত হবে গরমে এগুলো সমস্যাই ভুগতে পারেন।
বিশেষ করে এছাড়াও লিভার, কিডনি, এরকম ধরনের সমস্যায় আপনি পড়তে পারেন অতিরিক্ত
পরিমাণে গরমে। তাই এই সময় আপনার জন্য সবথেকে উপযুক্ত মাধ্যম হচ্ছে বেশি বেশি
পানি পান করা। এতে আপনি যেমন সুস্থ থাকবেন তার পাশাপাশি আপনার শরীর স্বাস্থ্য ঠিক
থাকতে সাহায্য করবে বলে মনে হয়।
অতিরিক্ত পরিমাণে গরমে সাধারণত ভাবে মানুষ জটিল জটিল রোগে আক্রান্ত
হয়ে পড়ে যা বলার মত নয়। এছাড়া অতিরিক্ত পরিমাণে গরমে হৃদরোগের বিভিন্ন ধরনের
সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে গরমে সবসময় সাবধানে চলার
চেষ্টা করবেন। আর সবসময় বেশি বেশি পানি পান করার চেষ্টা করবেন।
আর সব থেকে মারাত্মক এবং হচ্ছে আপনার শরীরের পানি শূন্যতা দেখা দিলে এতে আপনার
প্রসবের যন্ত্রণা দেখা দিতে পারে। তার পাশাপাশি আপনার শরীরের এনার্জি একদম কমে
যেতে পারে। এবং কোন কাজে মনোবল এবং শক্তি ঠিক থাকতে পারবে না। তাই অতিরিক্ত
পরিমাণে সবসময়ই বেশি বেশি পানি পান করার চেষ্টা করবেন এটা আপনার জন্য
উপকারিতা।
তীব্র গরমে কি করা উচিত জেনে নিন
তীব্র গরমে আপনি চাইলেই চা বা কফি এগুলো খেলে আপনার শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে
দিতে পারে। তাই আপনি চাইলে লেবু বা স্যালাইন মিশিয়ে বেশি বেশি পানি পান করতে
পারেন এতে আপনার তা শরীরে গরমের তীব্রতা খুব কম লাগবে বলে মনে হয়। এছাড়াও
আপনার লেবুর শরবতে ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।
তবে যার হাই প্রেসার এরকম ধরনের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য লেবু খাওয়া ক্ষতিকর্তা
হিসেবে রচিত। এরকম ধরনের সমস্যা যাদের রয়েছে তারা কোন সময় অতিরিক্ত
পরিমাণে লেবু খাবেন না এতে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। তীব্র গরমে এছাড়াও আপনি
চাইলেই বেশি বেশি স্যালাইন খেতে পারেন এতে শরীর ঠান্ডা রাখতে পারে।
আপনি লেবুর সাথে সামান্য পরিমাণে লবণ ব্যবহার করে খেতে পারেন। এতে আপনার খেতে
যেমন স্বাদ তার পাশাপাশি অনেক সুস্বাদু। তাই আপনি লেবুর সাথে সাথে কিছু
সংখ্যক পানি মিশে প্রতিদিন নিয়মিত খেতে পারেন।এতে আপনার গরমের তীব্রতা থেকে খুব
সহজে মুক্ত করতে পারবে আপনাকে বলে মনে হয়।
অতিরিক্ত পরিমাণে গরমে তীব্রতা থেকে বাঁচতে বেশি বেশি শাকসবজি খেতে পারেন।
এতে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পুষ্টি ও ভিটামিনের ভরপুর থাকবে বলে
মনে হয়। যেমন চাল কুমড়া, ঝিঙ্গা, এগুলো বেশি বেশি খেলে আপনার শরীরের তাপমাত্রা
নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত পরিমাণে গরমে তীব্রতা থেকে আপনি রক্ষা
পাবেন।
এছাড়া বেশি বেশি ফলমূল খেতে পারেন কর্মের তীব্রতা থেকে বাঁচার জন্য। তার
পাশাপাশি তেতুলের শরবত, টক আমের শরবত এগুলো বেশি বেশি খেতে পারেন এটা আপনার
শরীরের আদ্রতা নিয়ন্ত্রণে রাখবে তার পাশাপাশি আপনি রক্ষা করতে পারবেন বলে মনে
হয়। তাই নিয়মিত এগুলো খেতে থাকুন এতে আপনার জন্য উপকারিতা।
গরমে আপনার শরীরে জন্য কি কি খাবার খাওয়া উচিত জেনে নিন
অতিরিক্ত পরিমাণে গরম করলে আপনি বেশি মসলাযুক্ত কোন খাবার খাবেন না। এটা আপনার
শরীরের যেমন সমস্যা তার পাশাপাশি পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অতিরিক্ত পরিমাণে গরমে কোন সময় ভুলেও বেশি মাসলাযুক্ত খাবার খাবেন না। এগুলো
খাবার থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন এতে আপনার জন্য উপকারিতা।
আপনার শরীরের জন্য সবথেকে উপযুক্ত হচ্ছে অতিরিক্ত পরিমাণে গরমে ঠান্ডা যুক্ত কিছু
খাদ্য খাওয়া। যেসব শাকসবজি আপনার শরীরকে ঠান্ডা রাখতে পারবে সেসব ধরনের সবজি
খাওয়ার চেষ্টা করবেন এতে আপনার জন্য উপকারিতা। তার পাশাপাশি অতিরিক্ত পরিমাণে
গরমে দেওয়া নিয়ম গুলো মেনে চলার চেষ্টা করবেন।
এ সময় আপনি বেশি বেশি তরমুজ, আনারস, আঙ্গুর, আপেল, কমলা, বেদনা এগুলো খাওয়ার
চেষ্টা করবেন এতে আপনার শরীরের জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখবে এগুলো খাদ্য। তাই
অতিরিক্ত পরিমাণ গরমে কোন সময় ভুলেও কোনো খারাপ যুক্ত খাদ্য খাওয়া যাবেনা এতে
শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর দিক হিসাবে পরিচিত।
এছাড়াও আপনি চাইলে বেশি বেশি আখের রস, লেবুর শরবত, এগুলো বেশি বেশি খেতে
পারেন অতিরিক্ত পরিমাণে গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। তার পাশাপাশি চাইলেও
শাকসবজি খাওয়ার বেশি চেষ্টা করবেন এতে শরীরের জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখবে তার
পাশাপাশি অতিরিক্ত পরিমাণে গরম থাকলেই তা আপনার শরীরে নিয়ন্ত্রণ করে নিতে
পারবেন।
তাই সবকিছু পরিশেষে বলা যায় যে, অতিরিক্ত পরিমাণে গরমে কোন সময় ভুলেও
ভেজালযুক্ত কোন খাদ্য খাবেন না। এতে আপনার শরীরের জন্য যেমন ক্ষতিকর তার
পাশাপাশি আপনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। আর গরমে আপনার শরীরের জন্য
বেশি বেশি পানিযুক্ত খাদ্য খাওয়া আপনার জন্য অত্যন্ত জরুরী।
শেষ বক্তব্য
আপনাদের মাঝে ইতিমধ্যে গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার ১৫ টি উপায় সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তার পাশাপাশি অতিরিক্ত পরিমাণে টিনের ঘর ঠান্ডা
রাখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনাদের মাঝে আলোচনা করা হয়েছে। তাই আমাদের
এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলগুলো পড়েন।
আর আমাদের এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার
বন্ধুবান্ধবদের সাথে শেয়ার করবেন। তার পাশাপাশি এরকম সুন্দর সুন্দর সব পোস্ট
পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আর এর সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে উপরে
মনোযোগ সহকারে করতে থাকুন আশা করি এর সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে যাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url